(ঢাকার মধ্যে ৬০ টাকা, গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ ৮০ টাকা, ঢাকার বাহিরে ১৩০ টাকা। 1,000 টাকার বেশি অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি।)
সজনে পাতা (Moringa oleifera) হলো একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ভেষজ উপাদান, যা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সজনে গাছের প্রতিটি অংশই উপকারী হলেও এর পাতা বিশেষভাবে পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এই পুষ্টিগুণগুলো শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
সজনে পাতা বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য কার্যকর বলে পরিচিত। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এটি হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, প্রদাহ কমাতে এবং হজমের সমস্যা নিরাময়ে কার্যকর।
সজনে পাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি র্যাডিকালগুলোর ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমায়। ত্বক ও চুলের যত্নেও সজনে পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সব মিলিয়ে, সজনে পাতা একটি প্রাকৃতিক সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত হয়, যা দৈনন্দিন স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে।
সজনে পাতার নানা উপকারিতা রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা উল্লেখ করা হলো:
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: সজনে পাতা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, যা বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে।
হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত: সজনে পাতায় ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকার কারণে এটি হাড়ের শক্তি বাড়ায় এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
প্রদাহ কমায়: সজনে পাতায় প্রদাহবিরোধী গুণ রয়েছে যা শরীরের বিভিন্ন প্রদাহজনিত সমস্যার উপশমে সহায়ক।
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা: এতে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়ক এবং চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: সজনে পাতা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
হজমের উন্নতি: এটি হজমশক্তি বাড়াতে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
ত্বক ও চুলের যত্ন: সজনে পাতা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক।
মেটাবলিজম বাড়ায়: সজনে পাতা মেটাবলিজম উন্নত করতে সহায়ক। এটি শরীরের ক্যালোরি খরচ বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে।
দুর্বলতা দূর করে: সজনে পাতায় থাকা প্রোটিন এবং মিনারেল শরীরের শক্তি বাড়ায় এবং দুর্বলতা দূর করে, বিশেষ করে শারীরিক কসরত বা কাজের পর।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: সজনে পাতা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
নিউট্রিশনাল ডিফিসিয়েন্সি পূরণ: সজনে পাতা বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়ক, বিশেষ করে এমন অঞ্চলে যেখানে পুষ্টির অভাব আছে।
মেনস্ট্রুয়াল পেইন কমায়: সজনে পাতা পিরিয়ডের সময়ব্যাপী ব্যথা ও অস্বস্তি কমাতে সহায়ক হতে পারে। এটি মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
যকৃৎ ও কিডনির স্বাস্থ্য: সজনে পাতা যকৃৎ ও কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়ক এবং এসব অঙ্গের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া সাহায্য করে।
শরীরের অ্যান্টি-এজিং প্রক্রিয়া: সজনে পাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি ত্বককে তরুণ ও উজ্জ্বল রাখে এবং বার্ধক্যের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
অনিদ্রা সমস্যা মোকাবেলা: সজনে পাতা শরীরকে শান্ত করতে এবং ঘুমের সমস্যা সমাধানে সহায়ক হতে পারে।
মা ও শিশুর স্বাস্থ্য: সজনে পাতা মা ও শিশুর জন্য পুষ্টি সরবরাহ করে এবং দুধবর্ধক হিসেবে কাজ করতে পারে।
বাচ্চাদের বৃদ্ধির জন্য উপকারী: সজনে পাতা শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়ক। এর পুষ্টিগুণ শিশুদের শক্তি ও শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ: সজনে পাতা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ ও বর্জ্য অপসারণে সহায়ক। এটি ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং শরীরকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাল: সজনে পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ রয়েছে যা শরীরকে বিভিন্ন জীবাণু ও ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
রক্তের স্বাস্থ্য উন্নত: সজনে পাতা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়ক, যা অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতার সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
বেশি খিদে ও মানসিক চাপ কমায়: সজনে পাতা মানসিক চাপ কমাতে এবং স্বাভাবিক মেজাজ বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। এটি খাবারের প্রতি আগ্রহ কমায় এবং সুস্থ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
হজমের সহায়ক: সজনে পাতা হজম শক্তি বাড়ায় এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্যান্য হজম সমস্যার সমাধানে সহায়ক।
প্রাণশক্তি ও জীবনযাত্রার উন্নতি: সজনে পাতা শরীরের সার্বিক শক্তি ও জীবনীশক্তি বাড়ায়, যা জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়ক।
তাজা সজনে পাতা:
সুজি বা গুঁড়া হিসেবে:
মাস্ক ও স্ক্রাব:
পাশাপাশি ব্যবহার:
পরিমাণ: সজনে পাতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিমাণের প্রতি সতর্ক থাকা উচিত। অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তাই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত।
সজনে পাতার ক্যাপসুল বা সাপ্লিমেন্ট:
সজনে পাতার তেল:
সজনে পাতার গুঁড়া ও মধুর মিশ্রণ:
খাবারে সজনে পাতার ব্যবহার: