খেলাধুলা
পুনরায় তীরে এসে তরী ডোবালো বাংলাদেশ।

জয়ের স্বপ্ন দেখলেও হেরেছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চতুর্থ ইনিংসে ২০৯ রানের বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই কোন দলের। সেখানে দ্বিতীয় টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশকে জয়ের জন্য ছুড়ে দিয়েছিল ২৩১ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই লক্ষ্যে তামিম ও সৌম্য দুর্দান্ত শুরু এনে দেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের তাড়াহুড়া করার কারণে ধীরে ধীরে ম্যাচটি নাগালের বাইরে চলে যায়। তবে শেষ বিকেলে রোমাঞ্চ সৃষ্টি করে ১৭ রানে হেরে যায় বাংলাদেশে।
জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেও দ্বিতীয় টেস্ট হেরে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। দুই ওপেনারের উপর ভর করে শুরুটা দুর্দান্ত ছিল। একটা সময় জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল টাইগাররা। তবে ১৩তম ওভারে ক্রেইগ ব্রেথওয়েটের বলে তালুবন্দি হয়ে ফিরে এসেছে সৌম্য সরকার। ওভার পিচড কাট করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে উইকেট কিপারের গ্লাভসে ছুঁয়ে উঠে যায়। প্রথম স্লিপ থেকে সেই ক্যাচ নিয়ে নেন ব্রেথওয়েট।
সৌম্য সরকারের বিদায়ের পর অনেকটা স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে খেলছিলেন তামিম। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৮তম হাফসেঞ্চুরি তুলে বিদায় নেন এই অভিজ্ঞ ওপেনার। অনিয়মিত স্পিনার ব্রেথওয়েটের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে শট কাভারে ক্যাচ তুলে দেন। তামিম ফিরেছে ৫০ রান করে।
দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর হতাশ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় সেশনের শেষ বলে কর্নওয়ালের বলে আউট হয়ে ফিরে যান।
এতে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশে। মুশফিক-মুমিনুল মিলে কিছুটা স্বস্তি যুগিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু দলীয় ১০০ রানে আউট হয়ে ফিরে যান মুশফিক।
এরপর বাংলাদেশের আরও বিপদ দিয়ে যান মিঠুন। তিনি বিদায় নেন মাত্র ১০ রান করে।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন তাইজুল। কর্নওয়ালের বলে লেগবিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হয়ে যান তিনি। কিন্তু কিছুটা আশা জাগিয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজ, এক প্রান্ত আগলে রেখে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। কিন্তু সম্ভাবনাটা বেশিক্ষণ থাকলো না। ওয়ারিকানের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ৩১ রান করে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তখনই জয়ের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়।
সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হয়েছে নক্রুমা বোনার এবং ম্যাচসেরা হন রাহকীম কর্নওয়াল।