ধর্ম
১৫ শ্রেণীর মানুষ মুসলমান হয়েও জান্নাতে প্রবেশ করবে না

১. অবৈধভাবে উপার্জন করে যে ব্যক্তি দেহ গঠন করে ওই দেহ কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না। সে যতই ভাল কাজ করুক না কেন তার দেহ যদি হারাম খাদ্য দিয়ে তৈরি হয় তাহলে তার দেহ জান্নাতে যাওয়া হারাম। সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না মুসলমান হলেও
২. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না। যেকোনো বিষয়ে মামার সাথে, খালুর সাথে, ভাইয়ের সাথে ,ফুপির সাথে, ফুপার সাথে, নানার সাথে, বা শ্বশুরকূলের আত্মীয়রসাথে, অথবা মা-বাবা বোনের সাথে, কিংবা চাচাতো ভাই বোনের সাথে,এক কথায় বলতে গেলে রক্তের সম্পর্কে যে সকল আত্মীয় আছে তাদের সাথে কোন যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া আত্মীয় সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হলে সে ব্যক্তি কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
৩. সেই ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না যে ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়। যেমন,প্রতিবেশীর জমিতে আইল কেটে নেওয়া তার বাড়ির ছাদে, বাড়ির আশেপাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা রাখা। তার একটি প্রিয় গাছ কেটে ফেলা, জোরে সাউন্ড দিয়ে গান শোনা ইত্যাদি কাজে কষ্ট দিলে সে ব্যক্তি কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
৪. মা-বাবার অবাধ্য সন্তান কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না। যে সন্তান তার মা-বাবার ন্যায্য নির্দেশ অমান্য করে লংঘন করে পাত্তা দেয় না। এই সন্তানের জন্য জান্নাত হারাম । সে যত ভালো কাজ করুক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে পড়ে কপালে কালো দাগ করে ফেললো তাও সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না। কারণ আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ মানার পরে জমিনে যদি কারো নির্দেশ মানা প্রয়োজন হয় বাধ্যতা মূলক হয় সেটা হল মা-বাবা,যদি তারা আল্লাহর নির্দেশ এর বাইরে কিছু বলে অযৌক্তিক কিছু বলে তাহলে মানা যাবেনা। কিন্তু যদি যুক্তি কিছু বলে আপনার স্বার্থের ভিতরে তাহলে অবশ্যই সেটা মানা প্রয়োজন। আর যদি আপনার স্বার্থের বাইরে কিছু বলে তাহলে তার আপনি পারলেন না । কিন্তু যুক্তি কিছু বললে আপনাকে এটা মানতেই হবে নাহলে আপনি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
৫. মুসলমান হয়েও সেই ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না যে কথায় কথায় গালিগালাজ করে বদমেজাজি অশ্লীল ভাষায় কথা বলে এবং অগ্র মেজাজি মানুষটি সব সময় দবায় অর্থাৎ দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করে এ সকল ব্যক্তি কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
৬. মুসলমান হয়েও সেই সকল শাসকেরা মানে নেতারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। যারা তাদের প্রজাদেরকে বা তাদের অধীনস্থ মানুষকে ধোঁকা দেয় তারা কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
৭. অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করে অর্থাৎ অন্যের হক কে মেরে আপনি উপার্জন করলে, চিটারি করলে বিভিন্ন অপকর্মে উপার্জন করলে সে ব্যক্তি মুসলমান হয়েও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
৮. উপকার করে যে ব্যক্তি খোটা দেয় সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না মুসলমান হলেও।
৯. চুগলখোর ব্যক্তি কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না যে এর কথা ওর কানে লাগায় ওর কথায় এর কান লাগায় এ ধরনের ব্যক্তি কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না এককথায় মুনাফিক টাইপের লোক।
১০. অন্যের পিতাকে যদি নিজের পিতা হিসেবে পরিচয় দেয় তাহলে সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। যেমন নিজের বাবা আছে কিন্তু নিজের বাবাকে দেখে না অন্য কে বাবা হিসেবে পরিচয় দেয় এমন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
১১. সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না যার ভিতর অহংকার দাম্ভিকতা বেশি নিজেকে অনেক বড় মনে করে এ ধরনের মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
১২. সে ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না যে রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম এর কথা অমান্য করে তার নির্দেশকে অমান্য করে।
১৩. সে ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না যে বিনা কারণে কথায় কথায় স্বামীর কাছে তালাক চাই, হঠাৎ রাগের মাথায় যে মহিলা স্বামীর কাছে তালাক চায় সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
১৪. দুনিয়ার উদ্দেশ্যে ইলম অর্জন করে তারা কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না মুসলিম হলেও।
১৫. যে ব্যক্তি চুলে বা দাড়িতে কালো কালার করে যেখানে মেহেদী বা অন্য কিছুর মিশ্রণ নাই একদম পিওর কালো কালার করে সে ব্যক্তি মুসলমান হয়েও জান্নাতে প্রবেশ করবে না।