
প্রথম অবস্থায় মাহফিলের অনুমতি পেলেও অনুমতি মেলেনি আল্লামা মামুনুল হক আনার। কিন্তু সব প্রতীক্ষা অপেক্ষা করে সর্বশেষ সরকার বিরূদ্ধে উসকানিমূলক কথা না বলার ভিত্তিতে অনুমতি পেল মাহফিল কমিটি আল্লামা মামুনুল হক কে আনার।
গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে ওসি নাজিম উদ্দিন এর সাথে মাহফিল কমিটির ১ বৈঠক বসে সেখানে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করে মহাফিল কমিটি এবং প্রশাসন। পরবর্তীতে মামুনুল হক কে প্রশাসন থেকে আনার অনুমতি দেয়া হয় তবে আইনশৃঙ্খলা যেন কোন ধরনের অবনতি না ঘটে সেদিকে প্রশাসন নজর রাখবে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আব্দুস সামাদ জানিয়েছে, মাহফিলে কোন ধরনের সমস্যা না হয় সেদিকে তারা লক্ষ্য রাখবে এবং দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হয়েছে। সেই নিমিত্তে অনুমতি পাওয়ার পর বিকাল থেকে শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন খ্যাতনামা আল্লামার বয়ান।
এদিকে আল্লামা মামুনুল হকের আসার আগমনে। সকাল থেকে সিলেট -সুনামগঞ্জ হেফাজত নেতারা তার নিরাপত্তার জন্য সিলেট থেকে ছাতক উপজেলার প্রবেশমুখে সুনামগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সাহেব আলী পাঠানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহজনক গাড়িগুলো তল্লাশি করা হয়।
আল্লামা মামুনুল হকের বয়ান শুনতে সুনামগঞ্জের সকাল থেকেই অনেক ভির দেখতে পাওয়া যায়। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধা মানুষ তার বয়ান শুনতে আসে। এছাড়াও লক্ষ্য করা যায় পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষকে। বিশেষ করে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ,এর বিভিন্ন উপজেলা থেকে আল্লামা মামুনুল হকের বয়ান শুনতে বাস-ট্রাক ইজিবাইক, ট্রাম্প, তারা আসে।
সর্বশেষ এমন প্রতীক্ষার পরে মাহফিল কমিটি তাদের ৪৩ তম বার্ষিক সম্মেলনে হযরত আল্লামা মামুনুল হক কে এ নিয়ে তার কন্ঠে আল্লাহর বাণী শুনেন। এছাড়াও আলমা মামুনুল হককে আসার অনুমতি দেওয়ায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মাহফিল কমিটি।