আন্তর্জাতিক
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর চাপ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন ।

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে সেনাবাহিনীর রুদ্ধ মেজাজ কে উপেক্ষা করে প্রকৃতি অধিবেশন সমাপ্ত করেছেন দেশটির আইন প্রণেতারা । দেশটির গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর উপর চাপ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
যদিও সকল দেশেই এ সহিংসতার বিরুদ্ধে হলেও চীন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে চাইছে । মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে টানা তৃতীয় দিন অর্থ
থাৎ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিকট শব্দের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায় দেশটির সাধারণ জনগণ।মিয়ানমারে জনগণ যার যার মতো নিজের জায়গায় অবস্থান করে বিভিন্ন প্রকার শব্দ করে আন্দোলন ও সেনাবাহিনীর প্রতি ক্ষোভ প্রদর্শন করে ।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে রাজধানীর থেকে ত্যাগ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা অমান্য করে নেপিদোর সরকারি অতিথি ভবন এ প্রকৃতি পার্লামেন্টে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ৮০ জন আইনগ প্রণেতা গণ । তাদের দাবির সেনাবাহিনী নয় , তারাই মিয়ানমারের জনগণের বৈধ প্রতিনিধি ।
মিয়ানমারের আইন প্রণেতারা মনে করেন এটি কোন অভ্যুত্থান নয় এটি দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি বিদ্রোহ , দেশের জনগণের মানবাধিকারের চরম লংঘন এটি । এর চেয়ে বড় কোনো রাষ্ট্রদোহিতা আর কোন কিছুই হতে পারে না ।
গত ১ ফেব্রুয়ারি এই অভ্যুত্থানের পরবর্তীতে এই প্রথম অং সান সুচি ও মিয়ানমারের শীর্ষ নেতাদের আটকের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ । সেনাবাহিনীকে স্বেচ্ছায় ও সম্মানের সহিত দেশটির রাজনৈতিক দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র ।
মিয়ানমারের সরকারকে সহিংসতা পরিহার করে সহিংসতা মানবাধিকার বাকস্বাধীনতা ও আইনের পূর্ণ চর্চা করা উচিত সামরিক বাহিনীর । রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন ও রাখাইন সংকটের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে হবে ।
এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান গণতান্ত্রিক একটি দেশে জনগণের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের পরবর্তীতে এই সুষ্ঠু একটি রায় কে উপেক্ষা করে জনগণের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় , আর তাই সেনাবাহিনীর উচিত এই দখলদারিত্ব কে পরিহার করে আটককৃত সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করা , এবং এই সহিংসতার পথ পরিহার করা ।
এদিকে পৃথিবীর প্রায় দেশ যখন একই পথে হাঁটছেন তখন ভিন্ন সুর চীনের , তারা চাইছে শুধু সেনাবাহিনীর ওপর দায় চাপিয়ে সব পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধান ।