স্বাস্থ্য
কিসমিসের উপকারিতা কি? বাড়িতে কিসমিস তৈরি করবেন যেভাবে?

কিসমিস হল আঙ্গুর ফলের শুকনো রূপ। তাই কিসমিস কে শুকনা ফলের রাজা বলা হয় । এবং এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উৎপাদিত হয়,কিসমিস শুকনো খাওয়া যায় অথবা এটি খাবারের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়।
কিসমিসের গুণের কথা না জেনেই অনেকে এটিকে মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন অথবা অনেকেই কিসমিসের মিষ্টান্নতা উপভোগ করতে কিসমিস খেয়ে থাকেন।
গবেষণা বলছে সোনালী ভাঁজ হওয়া এই বাদামি ফলটি, শরীরের জন্য খুবই শক্তিদায়ক। কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন বি সিক্স , আয়রন , পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম। আঙ্গুরের ফুটেজগুলো সূর্যের তাপে জমাট বেঁধে পরিণত হয় কিসমিসে , আর এ ভাবেই তৈরি করা হয় সবার পছন্দনীয় মিষ্টি স্বাদের কিসমিস।
সাধারনত আমরা সবাই কিসমিস পছন্দ করে থাকি। এখন যদি কিসমিসের গুনের কথা বলতে শুরু করি , তবে তার অন্তিম লগ্নে পৌঁছাতে ক্ষণিক সময় যথেষ্ট হবে না। কিসমিসে শুধু একটি মিষ্টান্ন খাবার তাই নয় এর উপকারিতাও অনেক।
এবার চলুন কিসমিসের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পুষ্টি বিজ্ঞানীদের ভাষ্য মতে এতে থাকা বরন কাজ করে শিশুদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে। , শরীরের অতিরিক্ত কার্যক্রমতা বাড়াতে কিসমিস এর জুড়ি মেলা ভার। কিসমিসে থাকা আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে অ্যানিমিয়া নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে। কিসমিস রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকা এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যারা হার্টের সমস্যায় জর্জরিত তারা নিয়মিত কিসমিস ভেজানো পানি খেতে পারেন আশা করি উপকৃত হবেন। যারা রক্তশূন্যতায় ভোগেন তারা নিয়মিত কিসমিস ভেজানো পানি খেতে পারেন।
বাড়িতে কিসমিস তৈরি করবেন কিভাবে?
- প্রথমে আপনাকে পরিমাণমতো আঙুর ফল নিতে হবে।
- আঙ্গুর ফল গুলোকে হালকা পানিতে সিদ্ধ করতে হবে, ততক্ষণ সিদ্ধ করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত আঙ্গুর ফল গুলো ফেটে না যায়।
- আঙ্গুলগুলো ফেটে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে একটি পাত্রে রাখুন যাতে পানি গুলো ঝরে যায়।
- তারপর আঙুল গুলো তীব্র রোদে দুইদিন শোকাতে হবে।