বিনোদন
পারমাণবিক বিশ্বে বাংলাদেশ

অবশেষে বাংলাদেশেও যুক্ত হলো পারমাণবিক বিশ্বে। এ এক নতুন ধরনের যাত্রা। ইতিহাসে তো জায়গা করে নিবে নিশ্চয়, বাংলার ঘরে ঘরে স্থান করে নেবে এ পারমাণবিক। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তান দু'টি দেশই পারমাণবিক ক্ষমতাধর। তবে আমরা বাদ যাবো কেন? এছাড়াও আমেরিকা, ফ্রান্স, চীন, ব্রিটেন, ইসরাইল ও উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক শক্তির অধিকারী। এসব দেশ পারলে আমরা পারব না কেন? আমাদের দেশ তো সবদিক থেকে উন্নত হচ্ছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা তো লজ্জার ব্যাপার। ওইসব দেশ তো পারমাণবিক বোমার রসদ একটা।
এদিকে ইরানের পারমাণবিক শক্তির কথা জেগেছিল মনে। তাই আর যায় কোথায়? সব জায়গায় হইচই। পারমাণবিক হলো এক মরণঘাতী অস্ত্র। এতে রয়েছে রাসায়নিক পদার্থ । একটি পারমাণবিক প্রয়োগের ফলে লাখ লাখ মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাহলে ইরানকে এই শক্তি দেওয়া যাবে না। কিন্তু বাংলাদেশ সহজেই পেয়ে গেলো। কোন নিষেধাজ্ঞা এ পড়তে হয়নি। আলবার্ট আইনস্টাইন কেন যে পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে গেলেন তা তিনিই ভাল জানেন। আসুন দেশের সকলে মিলে আনন্দের গান গাই। চলুন সকলে মিলে ভাপা পিঠা উৎসব করি। কারণ নামে হলেও এখন পারমাণবিক শক্তিধর দেশ আমাদের বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের পারমাণবিক বোমার কথা লিখতে গেলে মনে পড়ে যায় টেবিল টেনিসের আন্ডার কথা। সে এক হাসির কাহিনী। এক গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা। সেখানে প্রধান অতিথি করা হয়েছিল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কে। অনেক দর্শক এসেছিল খেলাটি দেখতে, খুব সুন্দর ভাবে খেলাটি শেষ হয়। এবার শুরু হলো পুরস্কার বিতরণীর সময় । তার আগে প্রধান অতিথির কিছু বলার পালা। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে শুরু করলেন-তিনি বললেন এই খেলায় উপস্থিত সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আরো ধন্যবাদ জানাই যারা এই খেলাটি আয়োজন করেছে, ধন্যবাদ জানাই যারা এসে এই খেলাটি উপভোগ করেছে। সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ জানাই মুরগীটাকে, যে মুরগি এত শক্ত আন্ডা উপহার দিয়েছে। আন্ডা টা এত পেটানোর পরেও ভাঙ্গে নাই। এর পরে শুরু হলো দর্শকের হাসির রোল। আরেকটা অনুষ্ঠানে এলাকাবাসী ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে একটি মাঠের জন্য আবেদন করে। বক্তারা বলেন তাদের একটি ফুটবল মাঠের প্রয়োজন। এবার ইউপি চেয়ারম্যান দাঁড়ালেন। বললেন আমি এই অনুষ্ঠানে আসার সময় দেখেছি গ্রামের ছেলেরা রাস্তায় ফুটবল খেলছে। তখন ইউপি চেয়ারম্যান বললেন আমি দেখেছি এলাকার ছেলেরা ফুটবল খেলায় শুধু আউট হয়ে আসে, আউট করতে পারে না। একথা শুনে সকলের হেসে উঠলেন। টেবিল টেনিসের বল যেমন কোন মুরগি আন্ডা নয় তেমনি ফুটবল খেলায় গোল হয়। আউট নয়। পারমাণবিক বোমার বিরুদ্ধে এখন সব দেশ সোচ্চার। এরপরেও অনেক দেশ নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে। আর এই পারমাণবিক বোমা তৈরি করা হয় রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে। পারমানবিক বোমা হামলার ফলে মানুষের অনেক ক্ষতি হয়। এদিকে বাংলাদেশে পারমানবিক বোমা তৈরি হচ্ছে রং আর সুতা দিয়ে। তাঁত কারখানায় তৈরি হয়ে চলে যাচ্ছে মানুষের কাছে। আর এর নামই হলো পারমাণবিক লুঙ্গি। কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ একটি ছবি দেখা যাচ্ছিল। সেখানে দেখা যাচ্ছিল পাকিস্তান ও আমেরিকার পারমাণবিক অস্ত্রের ছবি। আর এদিকে বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে পারমাণবিক লুঙ্গির ছবি। কিন্তু এখন এটি হাস্যকর ব্যাপার। টেবিল টেনিসের আন্ডা আর ফুটবলে আউট হওয়ার মতই। কিন্তু আসল পারমাণবিক বোমা আর বাংলাদেশে তৈরি পারমাণবিক লুঙ্গি এক বিষয় নয়। কারখানার মালিক হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন পারমাণবিক বোমার মত পারমাণবিক লুঙ্গিও শক্তিধর। যাইহোক বুক ফুলিয়ে বলতে তো পারছি বাংলাদেশ পারমাণবিক বিশ্বে প্রবেশ করেছে। সে যাই হোক।